থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হোটেলে দুষ্কৃতী তান্ডব , ভাঙচুর

27th January 2021 7:37 pm হুগলী
থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হোটেলে দুষ্কৃতী তান্ডব , ভাঙচুর


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বের হোটেলে দুষ্কৃতিদের তান্ডব। ভাঙচুর হোটেল। ব্যাপক মারধর হোটেল মালিক তথা রাজ্যস্তরের রাইফেল শ্যুটার সহ এক কর্মচারীকে। প্রতিদিকার মত  হোটেল গোছানোর সময় বাইকে করে জনা সাতেক দুষ্কৃতি চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ের সামনে জনতা হোটেলে আসে বলে অভিযোগ হোটেল মালিকের। এরপর পছন্দসই খাবার চায় তারা। দোকান মালিক বলেন এখন দোকান বন্ধ হচ্ছে কোন খাবার নেই। এরপরই দুঃষ্কৃতিরা রাজ্যস্তরের শ্যুটার অনির্বানকে মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ। মালিককে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হয় হোটেলে ম্যানেজার । হোটের মালিকের অভিযোগ লুট করা হয়  ক্যাশবাক্সের মধ্যে থাকা টাকা। অভিযোগ ভাঙচুর করা হয় হোটেলের চেয়ার টেবিলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগেই চম্পট দেয় দুঃষ্কৃতিরা। এরপর চুঁচুড়া খড়ুয়াবাজার থেকে চার দুষ্কৃতি পুলিশের জালে ধরা পরে। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত  ঘড়ির মোড়ের ব্যাবসায়ীরা। দুষ্কৃতিদের মারে দুচোখ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অনির্বানের। বাঁ চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না তিনি বলেও জানান।  আসানসোলে অনুষ্ঠিত রাজ্য শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে আর রাইফেল চালানো হলো না তাঁর। এক দিকে ভয়, আর একদিকে মন খারাপ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।